Monday, 10 September 2012

ছি !

রাত ৮ টা
শহরের এক নাম করা হসপিটাল ...
আমি অনেকক্ষণ দাড়িয়ে আছি আমার এক প্রিয় জনের মৃত দেহ সংগ্রহ করার জন্য।

হসপিটালে লোকজন কম,
সেদিন  মনে হয় আর কেউ মারা যায়নি,
পৌনে ৫ঘন্টা দাড়ানোর পরে এলেন ডাক্তার ...জানালেন মৃত দেহ লাশকাটা ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে,
আরো ২ ঘন্টা দাড়াতে হবে,আবার এও জানালেন দেহ নাকি পচতে শুরু  করেছে।

তার কিছুক্ষণ পর বাইরে এলাম।চা পানএর জন্য ...

ধীরে ধীরে  হসপিটালে ভির বাড়তে লাগলো,যত রাতের অন্ধকার গভীর হলো ততো ভির বাড়ল আর বাড়ল।
এবার অনেক মৃত দেহ এলো,
 কেউ মা  , কেউ বোন ,কেউ তা স্ত্রীর মৃত দেহ নিয়ে  এলো,
আর আমি একা নই। দলভারি হলো।
কেউ আর আমায় আঙুল তুলতে পারবে না যে শুধু আমার বোন ধর্ষণ হয়েছে।
অনেক মৃত দেহ মর্গে গেল,
পুলিস এলো, সত্যি ধর্ষণ কিনা খুটিয়ে দেখার জন্য।
মন্ত্রীর ফোন এলো সত্যি ধর্ষণ কিনা জানার জন্য,
আমি দেখলাম।
কারো দেহের নিম্নাঙ্গ অনাবৃত,কেউ আবার রক্তে ঢেকে গেছে,
মৃত মেয়েকে কোনো মা তার শাড়ি  দিয়ে আড়াল করছে।
অনেক দেহ থেকে বিশ্রী গন্ধ বেরুচ্ছে ,মনে হয় পচতে সুরু করেছে।
তারপর র একটা বিষয় আমায় খুব অবাক করলো,একজনের মৃতদেহ আমার সামনে পরেছিল
সে এবার আমার দিকে চোক  খুলে চাইল,অদ্ভুত দৃষ্টি
মুখে তার অম্লান হাসি,
তার মুখটা অনেকটা আমার মা এর মত।বা আমার বোনের  মত ...আর আমি আর  সয্য করতে পারলাম না।
তারপর আমায় পেছন থেকে কেউ জোরে ঝাকালো।
তারপর
 তার ...পর ...
তা ...র ....প ...র ...

মা এসে আমার ঘুম টা  ভাঙ্গিয়ে দিল।।

ঘুম ঘুম চোখে খবরের কাগজ নিয়ে বসলাম,পরলাম আমাদের মাননীয় মুখ্য মন্ত্রী ঘোসনা করেছে
কম বয়সী মহিলা ধর্ষণ হলে ৩০হাজার টাকা, বেশি বয়সি মহিলা ধর্ষণ হলে ২০হাজার টাকা,
ইজ্জতের দাম ২০,৩০হাজার।
তার পাসের খবর তা আরো অবাক করলো  ...চুল্লু মদ খেয়ে মরলে তার জন্য লক্ষাধিক টাকা ক্ষতিপূরণ।ভাবুন একবার ...নারীর সম্মানের থেকে বড় হলো মদ ...
আর  যারা ধর্ষণ করলো তাদের তো প্রায় শাস্তি হলো না।
একবার ভাবলনা যে এদের দেখতে অনেকটা নিজে মা,বোন এর মত।
বলা বাহুল্য তারা না কোনদিন নিজের মা বোন কেই ধর্ষণ করে বসে।
ছি !

suhasish          11,2012              11:02











Saturday, 28 July 2012

শ্লীলতাহানি

ইচ্ছে ছিল একটা সুভ্র কুমুদের সৌরভ দিয়ে লেখাটা সুরু করার,কিন্তু আবার ব্যর্থ হলাম।
কারণ চোখের পলক ফেলতেই আবার একটা  খবর চোখের সামনেই ভেসে উঠলো।

শ্লীলতাহানির শিকার হলো দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্রী ,স্থান আবার সেই বারাসাত!

ঘটনার পর অভিনেতা-বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী তার বাড়িতে সান্তনা দিতে গিয়ে জানান :মেয়েটির নাকি পোশাক  ঠিক ছিল না,তার ভদ্র পোশাক পরা উচিত ছিল!

সাত সকালে এত স্তম্ভিত করার মত খবর র কি হতে পারে?

অর্থাৎ তিনি প্রমান করলেন স্বল্পবসনা যেকোনো নারীকেই পুরুষদের ধর্ষনের অধিকার আছে।সেখানে নাকি ধর্ষন কারীর কোনো দোষ নেই ,নারীটির নাকি দোষ ...কিন্তু মাননীয় বিধায়ক মহাশয় এর আগে যে কোটি ধর্ষন  হলো সেই সব নারীরা তো ভদ্র পোশাকি পরে ছিলেন,সেটা মনে হয় আপন ভুলে যাচ্ছেন,


আসল ব্যাপার একানে কাজ করে পুরুষের হীন যৌন কামনা।
কারণ রাস্তা ঘাটে দেখা যায় যে কোনো নারী-সে স্বল্পবসনা হোক বা ভদ্রবসনা,তাকে দেখে পুরুষের মনে কাম জাগবেই...এটা সমাজের দোষ ,
কিছু বিকৃত মনের পুরুষেরা সমাজ কে কলুসিত কালিমায় কলংকিত করছে
কিন্তু প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা করবেনা কারণ মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী বাদে প্রশাসনে বেশিরভাগ পূরুষ ...
ঘেন্না করে এই জঘন্য লিঙ্গ রাজনীতি দেখলে।
কারণ শাড়ি পরলেই যে ধর্ষন হবেনা তেমন গেরান্টি কেউ দিতে পারবেনা।


আরে মেয়ে রা কি পোশাক পর্বে এটা কি পুরুষ স্বাসিত সমাজ ঠিক করে দেবে?
অন্তত নিজেদের যৌন বিকৃতি ঢাকবার জন্য নারীদের দশ দেবেন নাplz ...
যেদিন আপনাদের বাড়ির মা বোনেদের নিয়ে টানাটানি হবে সেদিন বুঝবেন আজ বুঝবেন না ...
নারীদের স্বল্প পোশাক  দেখলে যে সব পুরুষের যৌন কামনা জেগে ওঠে সেইসব অশিক্ষিত পুরুষদের আগে সমাজ থেকে বের করুন,.
নিজেদের ভুল গুলো শোধরান ,তারপর এনিয়ে মতামত দেবেন।

Tuesday, 17 July 2012

প্রকৃতি...

ভাবতে অবাক লাগে !
বিশ্ব প্রকৃতির গভীর রহস্য আজ পর্যন্ত উন্মোচন হলো না।কত গুলো 'কেন 'র উত্তর আজও মেলেনা।
এই বিশ্ব প্রকৃতি যে বিশাল বড় এক অচিন্তনীয় ব্যাপার,এ কথা হয় তো এক বাক্কে স্বীকার করা যায়।


রক্তকরবীর মঞ্জরী প্রস্ফুটিত হয়, আবার পুস্প মঞ্জরী থেকে  ফুল ঝরেও পরে,কেন?? তা কেউ অবলোকন করতে পারেনা,
কারণ এটাই প্রকৃতির রহস্য...


গরমের দাবদাহ ক্ষীন হয়ে আসে,বর্ষার মেঘ কেটে যায়, আর পরিস্ফুট হয় শরতের স্বচ্ছ  আকাশ...তখন পাখির উচ্চস্বরে গুঞ্জন শুনে মন ভরে ওঠে,এও প্রকৃতির নিয়ম!


পতিত অট্টালিকায় ক্রমে অরণ্য জন্মায়,
কেন??
না জন্মালেও তো চলত।
কিন্তু তবু জন্মায়,এ হয়ত বিশ্ব পরিবাপ্ত প্রকৃতির ভার সাম্য রক্ষার জন্যই।


নব যৌবন প্রাপ্ত  কোনো নারীর মনে প্রকৃতির প্রভাব হয়ত সর্বপেক্ষা বেশি পরিলক্ষিত হয়,
হয়ত সেই বয়সে তরুণ হৃদয়ের একটা অতৃপ্ত আকাঙ্খা জেগে ওঠে,মন উজ্জল হয় শরতের সোনা 
গলা রোদের মতো ...প্রথম প্রেমের আভাসে মন হয়ে ওঠে চঞ্চল,ছুটে যেতে ইচ্ছে  করে গবাক্ষের ধরে 
বারবার!কুস্রী নারী তখন প্রেমিকের চোখে দেখে নিজের অনুপম রূপ কে,জালের আড়াল ভেদ করে চলেযেতে ইচ্ছা করে দিগন্তের  পাড়ে,স্নেহসিন্চনে আগলে রাখতে ইচ্ছে  করে প্রেমের সবকটি মুহূর্তকে।
কেন জানি না এমন হয়??
কি এর কারণ??
হয়ত এটাই প্রকৃতির নিয়ম।...

Sunday, 8 July 2012

সমাজ...!

সমাজ কেন সবসময়  আমাদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে .????
কেন আমরা চাইলেও নিজের মত বাচতে পারিনা?????
আমি কাকে আমার জীবন সঙ্গী /সঙ্গিনী করব সেটা পর্যন্ত সমাজ ঠিক করে দেবে????
আজ অত্যাচারিত হচ্ছে পিঙ্কির মত মানুষেরা।কাল হবে অন্য কেউ ।
কেউ কোনো প্রতিকার করবে না।
মুখ বুজে সবাইসব কিছু দেখবে...!
আইন কিছু বলবে না।
কারণ সেও  অন্ধ,,!
আরে ছেলে হোক বা মেয়ে,সবার আগে কিন্তু সে একটা মানুষ।
কবে আর  ভাববে আমাদের সমাজ এই সব কথা ??
নাকি আইনের মত অন্ধ হয়ে সারাজীবন  বাঁচবে ???